আজ ১ সেপ্টেম্বর। ১৯৭৮ সালের এই দিনে দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। আমি তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।জনগনের ভোটাধিকার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সঙ্কটকালে অসীম সাহসিকতার সাথে জুলুম-নির্যাতনকে সহ্য করেও দুর্বার আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আমি সেই অদম্য সাহসের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। পাশাপাশি সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রবাসে থেকেও দলকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছাতে যিনি কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের সেই দেশনায়ক তারেক রহমানের প্রতি জানাচ্চি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
সেই সাথে আমি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সংগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বুড়িচং উপজেলায় বিএনপিকে শক্তিশালী করতে যারা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ এই দিনে দলীয় নেতাকর্মী শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি জানাই ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। বিশেষ করে আমরা এ সময় অনেক নেতাকে হারিয়েছি।
আজ তাদের কথা বেশী মনে পড়ছে যারা দলের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন আজ আর আমাদের মাঝে নেই। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. ইউনুস,বীরমুক্তযোদ্বা জহিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মো.শাহজাহান সাবেক সাধারণ সম্পাদক) , আলহাজ্ব জুনাব আলী,( নিমসার জুনাব আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা)আকম ফজলুর রহমান মাস্টার, আবু তাহের ( রাজাপুর) বিএম কুদ্দুস (শংকুচাইল),ফজলুর রহমান ( শংকুচাইল) সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মোখলেছুর রহমান নীল মিয়া, শাহআলম মেম্বার, এড আবদুল লতিফ,রহিম সওদাগর,আবদুল মমিন মাষ্টার, ইসহাক ভাই,দেলোয়ার হোসেন,ডা. ওয়াহেদুর রহমান, আকতার আলী চেয়ারম্যান, হাসমত উল্লাহ চেয়ারম্যান, আশিকুর রহমান ভুঁইয়া জামাল হোসেন ( যুবদল)ফরহাদ হোসেন( বাকশীমুল),আবদুস ছাত্তার চেয়ার ম্যান,শরীফ খান,আলী আশ্রাফ কন্ট্রাক্টর, মফিজুল ইসলাম,রফিজ উদ্দিন চেয়ারম্যান, রাজা ভুইয়া চেয়ারম্যান, আবদুল ওহাব চেয়ারম্যান, মনিরুল হক( যুবদল)আলী আহম্মদ(কংশনগর),আলী হোসেন, আকমত আলী ভুঁইয়া, মফিজ ডিলার,জহির ডাক্তার,শাহ আলম ( এমপি সাহেবের পিস),বাবুল (রামপুর) সিদ্দিক ব্যাপারী,জহিরুল ডাক্তার,জামাল হোসেন বাবলু হাসান চৌধুরী সহ অনেক নেতা কর্মীকে।( যাদের নাম মনে পড়ছে তাদের নাম লিখলাম, যাদের নাম লিখতে পারিনি তার জন্য ক্ষমা চাই) সেই সাথে আমি গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি ২০০১ সালের নির্বাচনের পুর্ব মুহূর্তে খালেদা জিয়ার জনসভায় দুর্ঘটনায় নিহত ৪ বিএনপি কর্মীকে।
৪৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এখন বুড়িচং উপজেলায় একটি শক্তঘাটি হিসেবে পরিচিত।
নেতাকর্মীদের ঐক্য ও দায়িত্ববোধ আজ প্রসংশিত।দেশ আজ চরম সংকটে। সংকট উত্তরণে আমাদের নেতাকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিকার হচ্ছেন জুলুম নির্যাতন আর মিথ্যা হামলা মামলার।
সংকট উত্তরণ, জনগনের ভোটাধিকার, গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমি বুড়িচংবাসীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য উদাত্ত আহবান জানাই।
মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান
সভাপতি,
বুড়িচং উপজেলা বিএনপি
সাবেক চেয়ারম্যান
বুড়িচং উপজেলা পরিষদ।
কুমিল্লা।
You cannot copy content of this page